আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এমনটা ধরে নিয়েই ভোটের প্রস্তুতিতে আরেক ধাপ এগিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর এবার নতুন দলের নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন দল নিবন্ধনের লক্ষ্যে আবেদন চেয়ে গতকাল সোমবার এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, নতুন যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হতে চায়, তারা আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে আবেদন করতে পারবে। এরপর পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
নতুন করে শর্তারোপ বা শর্ত শিথিল করা হয়নি জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, বিদ্যমান আইন-বিধি মেনেই আবেদন করতে হবে।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৯। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়।
এদিকে সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন, দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন নীতিমালাও নিয়ে কাজ করছে ইসি। ইতিমধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল সংস্থাটি। মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি কিছু ব্যাখ্যা চেয়ে ইসিতে সেটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। এখন ইসি তার ব্যাখ্যা নিয়ে কাজ করছে।
সিইসি-সারাহ কুক বৈঠক
গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। বৈঠক শেষে সারা কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ঐকমত্য এবং সংস্কারপ্রক্রিয়ায় সমর্থন করে; আশা করি তা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে।’ এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো প্রশ্ন নেননি।
পরে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘তাঁরা জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি কী রকম, কোন পর্যায়ে আছি এবং কী ধরনের প্রস্তুতি চলছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমরা ভোটার নিবন্ধন, নতুন দলের নিবন্ধনসহ শিগগির কেনাকাটায় যাব। যেসব কাজ সময়সাপেক্ষ, ছয়-সাত মাস সময় লাগে, এগুলো শুরু করাসহ যা যা করছি, সব জানিয়েছি।’
সিইসি আরও বলেন, ‘দেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যথাসময়ে পর্যবেক্ষক নিবন্ধনের কাজটি শুরু করব। যেহেতু একটি সময়সীমা আছে ডিসেম্বর, সেটাকে মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তো অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আমরা যাতে টাইমলাইনটা মিস না করি, সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমরা তাদের বুঝিয়েছি। তাঁরা খুবই প্রশংসা করেছেন।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সিইসি জানান, না, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি।