বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকা ও বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অপরাধ কার্যক্রমে জড়িত পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তাদের ধরা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অপরাধী যারাই হোক, আমরা সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। ছাগল (ছাগলকাণ্ডে আলোচিত) মতিউরকে কিন্তু আজ ধরা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, এক পুলিশ সদস্যকে ধরার পর থানা থেকে পালিয়ে গেছে। আস্তে আস্তে বের করে সবাইকে ধরা হবে।’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আনসার ও ভিডিপি সদর দফতর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তার (বিতর্কিত) ভূমিকা ছিল, ফুটেজ আছে; তাদের কিন্তু ধরা হচ্ছে। চেষ্টা চলছে। প্রতিদিন দুয়েক জন করে ধরা পড়ছেন। যেমন আজকে মতিউর, ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে। তাকেও এতদিন ধরা যায়নি। অন্যদেরও ধরা হবে, আইনের আওতায় আনা হবে। সব তো একদিনে ধরা যায় না, অনেকে তো লুকিয়ে আছে, তাদের খুঁজে খুঁজে একে একে সবাইকে ধরা হবে।’
আন্দোলনের সময় কনস্টেবল থেকে শুরু করে ডিসি পর্যন্ত অনেকেই আছেন, যারা সরাসরি আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করেছেন। অভিযোগ আছে, তাদের পদায়ন-বদলি-পদোন্নতি দিয়েছেন। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকোয়ারির পর যাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ধরা তো হচ্ছে। দেখেন ধরা হয়েছে, ধরার পর আবার এক ওসি পালিয়েও গেছে।’
এমন বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের তালিকা গণমাধ্যমে আছে। এমন তথ্য জানালে তালিকাটি পুলিশ সদর দফতরে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। পাশাপাশি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আপনারা সঠিক স্বচ্ছ সাংবাদিকতা করেছেন। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আরও বাড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।