জার্মানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত ও ব্যাপক অংশীদারত্বের পর্যায়ে রূপান্তরিত করতে চায় বাংলাদেশ। এই পরিকল্পনার রূপরেখায় সহায়তা করতে প্রস্তুত জার্মানি। সম্পর্ক উত্তরণের বিষয়টি নিয়ে জার্মানির ফেডারেল প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টাইনমায়ারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইন। এসময় প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টাইনমায়ার বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
গত সপ্তাহে জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত জুলকার নাইন বেলভিউ প্যালেসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জার্মানির ফেডারেল রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টাইনমায়ারের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
শনিবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত জুলকার নাইন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান এবং দ্বিপক্ষীয় চমৎকার সম্পর্কের কৌশলগত ও ব্যাপক অংশীদারত্বের পর্যায়ে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেন।
তিনি প্রেসিডেন্টকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গণতন্ত্রে সফল উত্তরণের জন্য সংস্কার সম্পর্কে অবহিত করেন। জার্মান প্রেসিডেন্ট আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের লক্ষ্য ও আকাঙ্ক্ষা অর্জনে সফল হবেন।
রাষ্ট্রদূত কারিগরি ও শিক্ষাগত সহযোগিতা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, প্রযুক্তির যৌথ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জার্মানির চলমান এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন উদ্যোগে বাংলাদেশি পেশাদারদের বর্ধিত অংশগ্রহণের জন্য জার্মানির সমর্থনের অনুরোধ করেন।
প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার রাষ্ট্রদূত জুলকার নাইনকে তার মেয়াদকালে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হবে। প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতের সময় প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার রাষ্ট্রদূত জুলকার নাইনকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশ সফরের স্মৃতি ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করেন।