ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পৃথক স্থান থেকে এক নারীর পোড়া দেহ ও মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজার এলাকা থেকে পোড়া দেহ এবং ঘটনাস্থল থেকে ২০০-৩০০ গজ দূরে একটি ফসলি জমি থেকে মাথা উদ্ধার করা হয়।
নিহত নারীর নাম হরলুজা (৫০)। যিনি হিরাপুর কলোনি এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমে বাধা দেওয়ার অভিযোগে যুবক ফারহান ভূঁইয়া রনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। রনি দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া শানুর ছেলে। তিনি এলাকায় মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে চুরি হওয়া একটি রাজহাঁস খুঁজতে গিয়ে শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে সন্দেহ হয়। ঘরে থাকা রনি জানান, তিনি পাতা পুড়তে দিয়েছেন। সন্দেহ আরও বাড়লে স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে গর্তে পুড়তে থাকা নারীর মরদেহ দেখতে পান।
মরদেহের পুরো শরীর পুড়ে যাওয়ায় এবং মাথা আলাদা থাকায় প্রথমে দেহের লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। পোড়া হাতে চুড়ি দেখে নারীর মরদেহ বলে ধারণা করা হয়। পরে বিকেলে রনির দেওয়া তথ্যমতে, পুকুরপাড়ের জমি খুঁড়ে মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুর ইসলাম বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রেমে বাধা দেওয়ার জেরে হরলুজাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। রনি তার মরদেহ পুড়িয়ে গুমের চেষ্টা করছিল।”