Homeজাতীয়প্রধান উপদেষ্টার হাতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন

প্রধান উপদেষ্টার হাতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। আজ শনিবার বিকেলে বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আইন বাতিলসহ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং সমতা আদায়ে বিভিন্ন সুপারিশ আমাদের প্রতিবেদনে রয়েছে। আমরা আশা করছি, সেগুলোর বাস্তবায়ন হবে।’

আজ শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ছবি: প্রেস উইং

আজ শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ছবি: প্রেস উইং

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, প্রতিবেদনে সম্পদ-সম্পত্তি, সন্তানের অভিভাবকত্ব, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেওয়ার দেওয়ার সুপারিশ রয়েছে। জাতীয় সংসদে ৬০০ আসন রেখে সেখান থেকে ৩০০ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত করা, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধানের মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের নিচে) মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার সুযোগ বন্ধ, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করার সুপারিশও প্রতিবেদনে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটি পর্যায়ের কমিটিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব ন্যূনতম ৪০ শতাংশ করার সুপারিশও প্রতিবেদনে রয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের একটি হচ্ছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে গত ১৮ নভেম্বর এই কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

প্রজ্ঞাপনে মোট ১০ সদস্যের নাম উল্লেখ ছিল। তারা হলেন-শিরীন পারভিন হক, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (অবৈতনিক) নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

প্রজ্ঞাপনে ব্যারিস্টার সারা হোসেনের নাম থাকলেও তিনি কমিশনে যোগ দেননি। কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়াতে বলা হয়েছিল, কমিশন অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। তবে অন্যান্য সংস্কার কমিশনের সঙ্গে এই কমিশনের মেয়াদও একাধিকবার বৃদ্ধি করা হয়েছে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত