জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁরা সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে রমজান আলী ও আবু হোসেন জানিয়েছেন, ড. ইউনূস যখন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে আবু সাঈদ এবং অন্য শহীদের আত্মত্যাগের কথা বলেছিলেন, তখন আবু সাঈদের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ে।
শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী অধ্যাপক ইউনূসকে বলেন, ‘বিপ্লবে তাঁর বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা আপনি তুলে ধরেছেন এবং প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার এক দিন পরই রংপুরে আমাদের গ্রামে আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন, এতে আমরা সম্মানিত বোধ করেছি।’
আজ মঞ্চে প্রেসিডেনশিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড স্যালুট দেওয়ার সময় দুই ভাইও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা শহীদ আবু সাঈদের নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরির কথাও জানান এবং গ্রামে একটি মডেল মসজিদ ও একটি মেডিকেল কলেজ তৈরির আশা প্রকাশ করেন। এই বিষয়ে সহায়তার জন্য দুটি মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তাঁরা।
ছোট ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘ফাউন্ডেশনটি দরিদ্র এবং জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য কাজ করবে।’
অধ্যাপক ইউনূস শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশকে হত্যাকাণ্ডে তদন্ত দ্রুত শেষ করতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ জাতির জন্য যা করেছেন, তা বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না। তাঁর আত্মত্যাগ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণ–অভ্যুত্থানে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল।’
আবু সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তাদের জন্য তাঁর দরজা সব সময় খোলা থাকবে।
গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক দিন পর গত ৯ আগস্ট রংপুরে আবু সাঈদের মা–বাবার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতও করেন।