প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা একটা স্লো প্রসেস। গ্লোবালি যদি দেখেন এটি খুবই স্লো প্রসেস। এটার জন্য যত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যেকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের থেকে টাস্কফোর্স করে দেওয়া হয়েছে, সম্পদ পুনরুদ্ধার কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ১১টি টিম কাজ করছে, আমরা বিশ্বের বড় বড় এজেন্সির সঙ্গে কথা বলছি, যার মধ্যে কেপিএমজি অন্যতম। তাদের পরামর্শ নিচ্ছি। আমি বলবো, আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব এখানে।’
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘যেই টাকা চুরি হয়েছে সেটি বাংলাদেশের মানুষের খেটে খাওয়া টাকা। তাদের টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে শেখ হাসিনার চোরতন্ত্রের লোকজন। সেই টাকা আমরা যেভাবে হোক ফিরিয়ে আনবো। সেজন্য পুরো বিশ্বে আমরা সমর্থন চেয়েছিলাম এবং সবাই অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে। আমাদের এখান থেকে টাকা কিছু কিছু উন্নত দেশেও গেছে। কোথায় কোথায় টাকা গেছে এই মানি ট্রেইল বের করা, কীভাবে গেলো, কোন নামে নিয়ে গেছে, ওই টাকা দিয়ে সম্পদ কিনেছে কিনা, কী কী কিনেছে, এই পুরো জিনিস বুঝতে হবে, ট্রেইল দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, কেননা প্রফেসর ইউনূস যখনই বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন, এই বিষয় তুলছেন। এই টাকা বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের, এটা যেভাবেই হোক ফিরিয়ে আনতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘বিডার পক্ষ থেকে এ নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি এসে প্রেস কনফারেন্স করে বিস্তারিত জানাবেন।’
এ সময় তিনি মাজারে হামলার বিষয়ে আবারও সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নরের ‘কতল করা’ বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার কথা জানান।