দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। বিশেষত, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বিগ্ন ট্রাম্প এর আগে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন, যার ফলে তেহরান তাদের পরমাণু কার্যক্রম পুনরায় বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে, এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না যে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএপি।
২০১৫ সালে, ইরান পরমাণু চুক্তির অধীনে তাদের পরমাণু সক্ষমতা সীমিত রাখতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিনিময়ে, ইরানের ওপর আরোপিত বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু ট্রাম্প চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর ইরান তাদের ইউরোনিয়াম মজুত করার পরিমাণ বাড়িয়েছে। তবে, ইরান দাবি করছে যে, তারা এখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেনি এবং শুধু শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করছে।
বর্তমানে, ইরান ইউরোপের তিনটি শক্তিশালী দেশের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানির সাথে এ আলোচনা শুরু হবে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। যদিও ইরান ও ইউরোপের দেশগুলো এটিকে কেবল শলা-পরামর্শ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, যদি ট্রাম্প ইরানের প্রতি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন, তাহলে ইউরোপীয় দেশগুলো হয়তো তার সঙ্গে একমত হবে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও, তেহরান সম্প্রতি ইসরায়েলের সাথে সরাসরি হামলায় জড়িয়েছে, যা পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ইরান সম্পর্কে সন্দেহ এবং অনাস্থা তৈরি করেছে। ফলে, যদি ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেন, তাহলে উপসাগরীয় দেশটির জন্য পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে থাকে, তবে তা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে, যা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের সৃষ্টি করবে।