বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির জন্য বকেয়া বেতন ও ভাতাদি বাবদ সরকারের ৪২ কোটি টাকা খরচ হবে। এছাড়া তাদের পেনশন বাবদ বছরে অতিরিক্ত ৪ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এমন তথ্য জানান।
বঞ্চিত কর্মকর্তাদের বিষয়ে গঠিত জাকির আহম্মেদ খান কমিটির প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে প্রেস সচিব বলেন, ‘পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য একটি সুপারিশমালা দিয়েছিলেন। এর ওপর একটি রিভিউ কমিটি হয়েছিল। সে বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে একটি সিদ্ধান্ত এসেছে। ৭৬৪ জনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া যায় বলে রিভিউ করা হয়। এর মধ্যে ১১৯ জনকে সচিব পদে, ৪১ জনকে গ্রেড-১, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্ম সচিব পদে ৭২ জন এবং উপ সচিব পদে ৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির সুপারিশ করেছে কমিটি। এজন্য প্রাক্কলিত ব্যয় চিন্তা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে প্রত্যেক কর্মকর্তার জন্য প্রযোজ্য তারিখ হতে উচ্চতর পদে পদোন্নতির আদেশ জারি করা যেতে পারে। ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির বাস্তবায়নে বকেয়া পেতন আনুতোষিক ও পেনশন বাবদ এককালীন আনুমানিক ৪২ কোটি টাকা এবং পরবর্তী সময়ে পেনশন বাবদ বছরে অতিরিক্ত ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাই না কোনও বঞ্চিত কর্মচারী এমনটা না ভাবেন যে, তাকে আরও বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা সবার প্রতি ফেয়ার আছি এবং থাকবো। এই সরকার খুবই স্বচ্ছ। আমরা যেটা করছি সব জানানো হচ্ছে। কোনও কিছু গোপন করা হচ্ছে না। এ জন্য যে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে সেটা আমরা মানতে রাজি নই। অবশ্যই যারা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন বলে মনে করছেন, তাদের বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্টরা দেখছেন।