সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে ১০টি সুপারিশের মধ্যে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া গত বছর বিভিন্ন গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতন এবং অমানবিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের বিচারের সম্মুখীন করতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য উপস্থাপন করে এতে বলা হয়েছে, গত বছর ২ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং ২ হাজার ৪৭৮ জন আহত হয়েছেন।
অধিকারের পাঠানো ৫৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ১৮ জন সাংবাদিক আহত, ৬ জন লাঞ্ছিত, ৬ জন হুমকি পেয়েছেন এবং তিনটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা অফিসে হামলা করা হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে গণহত্যায় উসকানি দেওয়ায় ৩২ সিনিয়র সাংবাদিক অভিযুক্ত।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত বছর সারাদেশের অধস্তন আদালতে ৩০৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই সময় গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে ১২১ জনকে। বিভিন্ন কারাগারে মারা গেছেন ৮৩ জন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ৩০২ জন হিন্দুর ওপর হামলা ও ভাঙচুরে ১ হাজার ৪১৫টি অভিযোগ পেয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। ১ দশমিক ৫২ শতাংশ ঘটেছে সাম্প্রদায়িক কারণে।
এ ছাড়া ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফ ২৪ জনকে হত্যা এবং ২১ জনকে আহত করেছে। নিহত ২৪ বাংলাদেশির মধ্যে ২১ জনকে গুলি করে হত্যা এবং তিনজনকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। অবিলম্বে এসব মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে এবং প্রতিটি হত্যা ও নির্যাতনের বিচার করতে সুপারিশ করা হয়েছে।