রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের ছয় মাস আগে ৬০ হাজার কোটি টাকা প্রিন্ট করেছিলো।আমাদের গভর্নর বলেছেন যে, ওই পুরো ৬০ হাজার টাকা প্রিন্টিংয়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল এস আলমকে টাকা পাচারে হেল্প করা।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য-সহায়তার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে যে এই ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এই টাকা কিছু ব্যাংককে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ছাপানো। এটা অনেকটা চৌবাচ্চার পানির মতো। একদিক থেকে আসবে, অন্যদিক থেকে বেরিয়ে যাবে। টাকা কিন্তু মার্কেটে সমান থাকছে। এটা মার্কেটে অতিরিক্ত টাকা হিসেবে থাকবে না। বিধি মেনেই এটা করা হয়েছে। যে কারণে এটার সাথে ঐটার গুণগত পার্থক্য রয়েছে।’
আওয়ামী লীগের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে। তাদের উন্নয়নের গল্পের পোস্টমর্টেমে ভয়াবহ চিত্র বেরিয়ে এসেছে। সেই চিত্র পাঠ্যবইয়ে যোগ করা উচিত। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম লুটপাটের বিষয়ে জানতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক শ্বেতপত্র প্রকাশের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তার তেজগাঁও কার্যালয়ে শ্বেতপত্রের খসড়া রিপোর্ট হস্তান্তর করেছেন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ ব্যপারে শফিকুল আলম বলেন, আপনি দেখবের এটা চারশো পাতার বড় একটা খসড়া। আমরা আশা করছি যে এটা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হবে, বিতর্ক হবে। আরো আরো চিত্র উঠে আসবে।’
‘পতিত স্বৈরাচার যদি না বলতেন তার পিয়ন চারশো কোটি টাকা বানিয়েছেন সেটি আমরা জানতাম না। সেই বিষয়গুলো আপনারা দেখবেন। আমরা আশা করছি এটা খুবই কম্প্রিহেনসিভ একটা রিপোর্ট হবে এবং সবকিছুর ওপরেই একটা আলোকপাত থাকবে।’- আরও যোগ করেন তিনি।