মিয়ানমারে সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত উদ্ধার, চিকিৎসা ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে পাঠানো এই বিশেষ দল উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রমে নিবেদিতভাবে অংশগ্রহণ করছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়— গতকাল (শনিবার) মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দলকে মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল এবং আজ মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধসে পড়া ভবনে বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ছাড়াও বাংলাদেশ চিকিৎসা সহায়তা দল আজ (রোববার) নেপিডো শহরের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট যবুথিরি টাউনশিপ হাসপাতাল, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। আজ মোট ৫০ জন রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং তিনটি জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। উল্লেখ্য যে, অদ্যাবধি ভূমিকম্পে আহত রোগীদের মধ্যে ১৫টি জটিল অস্ত্রোপচারসহ সর্বমোট ৪৫৭ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বাধীন উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম আগামীকালও চলমান থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারে সংঘটিত ভূমিকম্পের প্রেক্ষিতে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে ১ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দল মিয়ানমারের নেপিডো শহরে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।