অঙ্গ প্রতিস্থাপন আর গবেষণার জন্য নিজের দেহ দান করে গেছেন ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী লাশ গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (পিজি) দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সন্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ। তিনি বলেন, ‘মা ২৭ বছর আগে দেহ দান করার সিদ্ধান্ত জানান। সেই অনুযায়ী পরিবারের সবাই লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে সম্মত হয়েছি। আজকে (গতকাল) দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।’
গত মঙ্গলবার বেলা ৩টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সন্জীদা খাতুন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। পরদিন তাঁর প্রিয় স্থান ছায়ানট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
সন্জীদা খাতুনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। গতকাল এই শোকবার্তা দেন তিনি।