ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন উপযুক্ত স্থান বলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে ড. ইউনূস বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে আছেন। সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ সময় বুধবার (২২ জানুয়ারি) তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেশ কিছু কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা, বৈশ্বিক বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা ডিপি ওয়ার্ল্ড, বিশ্বের বৃহৎ শিপিং কোম্পানি এপি মুলার মার্কসসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় বেশ কিছু কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি।’
‘বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন’ উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি দেশটি এখন গণতন্ত্র রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। বিদেশি বিনিয়োগ এলে তারা উচ্চ বেতনের চাকরির সুযোগ তৈরি করবে, যা আমাদের দেশের জন্য খুব দরকার।
গতকাল (বুধবার) দাভোসে ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকায় একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, যেখানে তিনি বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবে তরুণরা কীভাবে নেতৃত্বের অগ্রভাগে ছিল— তা তুলে ধরেন। প্রতিটি গ্রাফিতি দেখে বোঝা যায়— কীভাবে আন্দোলনে নেতৃত্বে ছিল তরুণরা— তাও তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ ছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি গতকাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে সহায়তা চান। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করা যায়— সে বিষয়ে তারা আলোচনা করেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। সূত্র: বাসস