Homeজাতীয়ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যুবসমাজ ও এসএমই উন্নয়নের ওপর জোর প্রধান উপদেষ্টার

ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যুবসমাজ ও এসএমই উন্নয়নের ওপর জোর প্রধান উপদেষ্টার


যুবসমাজ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এসএমই) উন্নয়নকে কেন্দ্র করে নতুন উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত মঙ্গলবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট ডি-৮–এর ১১তম শীর্ষ সম্মেলনের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্মেলনে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং ডি-৮ দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল—যুবসমাজ এবং এসএমই উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রত্যেক ডি-৮ দেশের মতো বাংলাদেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুব জনসংখ্যা রয়েছে। প্রতিবছর প্রায় আড়াই মিলিয়ন তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। প্রযুক্তির বিকাশ একদিকে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, আবার অন্যদিকে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে।’

তিনি জানান, বাংলাদেশের উৎপাদন এবং কৃষি খাতের কর্মীরা সাধারণত কম দক্ষ এবং এসব খাত দ্রুত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে। তবে তরুণেরা উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করছে এবং নতুন সুযোগ তৈরি করছে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোর (এসএমই) সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এসএমইগুলো বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে যুক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাখে। তবে তারা অনেক সময় আনুষ্ঠানিক কাঠামো, অর্থায়ন এবং বাজারের নিয়মকানুন সম্পর্কে সচেতন নয়। ডি-৮ দেশসমূহের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই এসএমইগুলোকে শক্তিশালী করা সম্ভব।’

একটি বহুপক্ষীয় আলোচনা ফোরামের প্রস্তাব করেন প্রধান উপদেষ্টা। যেখানে যুবসমাজ, স্টার্টআপ, ব্যবসা ও অর্থায়ন খাতের প্রতিনিধি একত্রিত হয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তিনি ২০২৫ সালে বাংলাদেশে ফোরামের প্রথম বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের উচিত একসঙ্গে কাজ করে যুবসমাজ এবং এসএমই উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।’

শিক্ষার পুনর্গঠন প্রস্তাব করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ডি-৮ দেশগুলোর উচিত তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা প্রণালীতে পরিবর্তন আনা। আমাদের ঐতিহ্য এবং জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তিকে একত্রিত করে দক্ষতা উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বৃহৎ পরিসরে দক্ষতা উন্নয়ন এবং পুনঃ দক্ষতা প্রদানের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করার সময় এসেছে।’

সম্মেলনে দুটি নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। সেগুলো হলো—বিশ্ববিদ্যালয় এবং জ্ঞানকেন্দ্রগুলোর মধ্যে কার্যকর সংযোগ স্থাপন, যা তরুণদের উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তিনির্ভর নেতৃত্বে রূপান্তর করবে; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে দক্ষতা এবং পুনঃ দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একটি সম্মিলিত শিক্ষামূলক উদ্যোগ গ্রহণ।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত