জামায়াতে ইসলামী একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হলেও এর আমির শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবেও বিবেচিত হন। এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষক এম এ আজিজ। সম্প্রতি তিনি গণমাধ্যমে এক আলোচনায় জামায়াতের রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক অবস্থান নিয়ে বিশদ বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, “জামায়াতের আমির একজন পবিত্র মানুষ হিসেবে বিবেচিত হন। তার কাজ শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়া নয়; বরং ধর্মীয় আদর্শ বজায় রেখে সমাজে আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনাও প্রদান করা। তিনি কোনো মিথ্যা কথা বলেন না এবং চালাকির আশ্রয় নেন না।”
এম এ আজিজ আরও বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর প্রভাব বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন সময়ের জোটগত রাজনীতি এ দেশের ভোটব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। বর্তমানে বিএনপি, জামায়াত এবং অন্যান্য ইসলামি দলের মধ্যে একটি নতুন সমীকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এবং হেফাজতে ইসলাম জামায়াতের বাইরে থেকেও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে প্রভাবিত করছে। এসব দল ভোটের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।”
৭১-এর যুদ্ধাপরাধ ও জামায়াতের অবস্থান
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও এম এ আজিজ বলেন, “জামায়াত এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পালনে উদ্যোগী। নতুন প্রজন্মের নেতারা এই বিষয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসছেন। তবে অতীতের সেই রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াতের সাম্প্রতিক কৌশলগুলো রাজনীতিতে একটি নতুন বার্তা দিচ্ছে। ইসলামি রাজনীতির এই পরিবর্তিত ধারা বিএনপির সঙ্গেও নতুন সমীকরণ তৈরি করছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াতের এই আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক দ্বৈত ভূমিকা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
