ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের থিম বা চেতনাকে প্রতিপাদ্য করে ২০২৫ সালের অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন সৃজনশীল প্রকাশকদের একাংশ। রবিবার বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির একটি প্রতিনিধিদল বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আজমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই দাবি জানান। একাডেমির একটি সভাকক্ষে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে প্রকাশক সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আগামী বইমেলা কেন্দ্র করে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এই ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-অমর একুশে বইমেলা জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানের থিমে আয়োজন করা। বইমেলা আয়োজনের সব উপ কমিটিতে ন্যুনতম একজন প্রকাশক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মেলার সময় রাত ১০টা পর্যন্ত বর্ধিত করা। প্রকৃত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ দিতে হবে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিতে হবে। মেলা উপলক্ষে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত মেট্রোরেলের বিশেষ ট্রিপ চালুর ব্যবস্থা করতে হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ দেয়া যাবে না এবং বিগত বছরগুলোতে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বৈঠকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলা একাডেমি ও প্রকাশকদের কাজের গুরুত্ব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ইস্যু উঠে আসে। ঐক্যবদ্ধ থেকে একটি সফল বইমেলা আয়োজনে পারস্পরিক প্রত্যাশা ও যৌথ উদ্যোগের ব্যাপারে ঐকমত্য প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির উপদেষ্টা আরিফুর রহমান নাইম (ঐতিহ্য), সভাপতি ইকবাল হোসেন সানু (লাভলী প্রকাশন), সাধারণ সম্পাদক মো. গফুর হোসেন (রিদম প্রকাশনা), আবুল বাশার ফিরোজ (ধ্রুবপদ), মো. জহির দীপ্তি (ইতি প্রকাশন), মো. আইনুল হোসেন (এএইচ ডেভলাপমেন্ট পাবলিশিং), শাহ আল মামুন (মনন প্রকাশ), মো. মিজানুর রহমান (শোভা প্রকাশ), মাশফিক উল্লাহ তন্ময় (স্টুডেন্ট ওয়েজ), মনির হোসেন পিন্টু (অন্যধারা), আবু বকর সিদ্দিক রাজু (স্বরে-অ) ও রাজ্জাক রুবেল (গ্রন্থিক)।
