Homeজাতীয়ক্যাম্পাসের অবৈধ ও ভ্রাম্যমাণ দোকান সরাতে সময় বেঁধে দিল রাবি প্রশাসন

ক্যাম্পাসের অবৈধ ও ভ্রাম্যমাণ দোকান সরাতে সময় বেঁধে দিল রাবি প্রশাসন


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নিরাপত্তার স্বার্থে সব ভ্রাম্যমাণ ও অবৈধ দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামীকাল শনিবারের (২১ ডিসেম্বর) মধ্যে এসব দোকান সরাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় পরের দিন রবিবার (২২ ডিসেম্বর) প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকান উচ্ছেদসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে মাইকিং করে এ নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দফতর।

এস্টেট দফতর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের সব ভ্রাম্যমাণ ও অবৈধ দোকানদারদের আগামী শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে নিজ দায়িত্বে দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় রবিবার সকাল ১০টা থেকে সব ভ্রাম্যমাণ ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ১০ নভেম্বর বিকেল ৪টার মধ্যে একই নির্দেশনা দিয়ে ক্যাম্পাসে মাইকিং করা হয়। তবে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও নির্দেশনা মেনে দোকান সরাননি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার (অফিসের প্রধান) মো. রজব আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অনেক দোকানপাট গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, মমতাজ উদ্দিন ও শহীদুল্লাহ ভবন, পরিবহন মার্কেট, টুকিটাকি চত্বরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য অবৈধ দোকান গড়ে উঠেছে। এসব অবৈধ ও ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো উৎখাত করে ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তো আর বিশ্ববিদ্যালয় নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেছে একটি বিনোদনের জায়গা, একটি উৎসবের জায়গা এবং একটি ব্যবসায়িক এলাকা। এখানে আর শিক্ষার পরিবেশ বজায় নেই। ক্যাম্পাসে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অনেক অবৈধ ও ভ্রাম্যমাণ দোকান গড়ে উঠেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। মূলত এই উদ্বেগের জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর আগে একবার নির্দেশনা দেওয়া হলেও কেউ-ই দোকানগুলো সরায়নি। বরং আরও নতুন নতুন দোকান বেড়েছে। তবে এবার আমরা কঠোরহস্তে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা করব।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত