আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো কে কী কাজ করছে, সেটি খুব সহজে সমন্বয় করার জন্য ‘সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার’ চালু করা হচ্ছে। এটি চালুর পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা করছে সরকার। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস উইং আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা কিছুদিন আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন একটি কমান্ড সেন্টার চালু করার। যার ফলে প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে কি কাজ করছে, সেটি যাতে খুব চাল সমন্বয় করা যায়। আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই কমান্ড সেন্টার কাজ শুরু করছে।’
এই কমান্ড সেন্টারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরেও আর্মড ফোর্সেসের প্রতিনিধিরা যুক্ত থাকবেন বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করছে, তাদের কাছে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমরা আশা করছি, এর ফলে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে এবং খুব দ্রুত রেসপন্স করা যাবে। কোনও জায়গায় যদি দেখা যায় যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিচ্ছে, সেখানে দ্রুত রেসপন্স করবেন তারা।’
সংবাদ সম্মেলনে কোরিয়ান ইপিজেড-এর জায়গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোরিয়ান ইপিজেড নির্মাণের জন্য জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। তাদের হাতে জমির কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কোরিয়ান ব্যাপক বিনিয়োগ আসবে দেশে। পতিত সরকারের লোকজন কোরিয়ান ইপিজেডের জমি দখল করার পাঁয়তারা করছিল বলে বাংলাদেশের পরিবর্তে ভিয়েতনামে তাদের প্রচুর বিনিয়োগ চলে যায়।
এই ইপিজেডের জায়গা ঠিক করে দেওয়া অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের কথা দিয়েছিলাম ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের জমির সমস্যা আমরা দূর করবো। আমরা ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের হাতে সমস্ত কাগজপত্র হস্তান্তর করে দিয়েছি। এখন আর কোরিয়ান ইপিজেডে কোনও সমস্যা নেই। আমরা আশা করবো, এখানে বড় বড় বিনিয়োগ আসবে এবং এখানে খুব ভালো ভালো কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’