সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, আজকে সচিবালয়ের একই ঘরে ব্যান্ড, সুরের ধারা, ছায়ানট, সাইমুম, গারো, মারমাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বসেছিলেন। আমরা খুবই আনন্দ নিয়ে ব্রেনস্টর্মিং করেছি। আমাদের প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এবারের কেন্দ্রীয় শোভাযাত্রা কেবল অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে তা না, আরও কালারফুল আরও মিউজিক্যাল হবে।
রবিবার (২৩ মার্চ) রাত ৮টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফারুকী বলেন, ‘মাইলসের হামিন ভাই নববর্ষ উদযাপন বিষয়ক প্রস্তুতি সভা নিয়ে বলেছেন, ৪০ বছর ধরে কাজ করছি, এই প্রথম এরকম একটা সভায় আমন্ত্রণ পেলাম। আজকে শুধু হামিন ভাই না, অনেকের জন্যই অভিজ্ঞতাটা ছিল নতুন। এরকম সভায় ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ প্রথম তো বটেই, বাঙালিদের মধ্যেও অনেক ঘরানা থেকে কেউ প্রথম অংশ নিলো।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘ব্যান্ড সংগীতকে অপসংস্কৃতি তকমা দিয়ে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। আবার কোনও জিনিসকে দূরে রাখা হয়েছিল ইসলামী সংস্কৃতির তকমা দিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে রক কনসার্ট হবে। যেখানে চাকমা, গারো, মারমা ব্যান্ডের পাশাপাশি বাংলা ভাষায় গান গায়— এমন বিখ্যাত ব্যান্ডগুলা থাকবে। বেসরকারি উদ্যোগে হবে বাউল-ফকিরি গান। আর সুরের ধারা, ছায়ানট এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত আয়োজনতো থাকছেই।’
‘এর মধ্য বিশেষ করে বলতে চাই, সুরের ধারার কথা। তারা এবার ইনক্লুসিভ উৎসবের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলা গানের পাশাপাশি ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীদের দিয়ে তাদের ভাষায় তাদের গান পরিবেশনের পরিকল্পনাও করেছে।’
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘‘১৪ তারিখ শেষ হবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিকাল বেলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আর রাতে ‘জুলাই এবং নববর্ষ’ নিয়ে ড্রোন শো দিয়ে। এই শো-টা হচ্ছে চীন দূতাবাসের সহযোগিতায়।’’
মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী বলেন, ‘সারা দেশে প্রতিটা জেলা-উপজেলাতেও নববর্ষ উদযাপন হবে। এর জন্য মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দ্বিগুণ করছে। যে জেলাগুলোতে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস বেশি, সেখানে আমাদের বিশেষ অংশগ্রহণ এবং নজর থাকছে। আমি নিজেও বান্দরবানের বৈসাবি এবং শ্রীমঙ্গলে চা-শ্রমিকদের ফাগুয়া উৎসবে থাকছি।’