বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার পর প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় তিনি এ কথা বলেন। পরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে (রাত ১২টার পর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার পর বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তারা ভাষা বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।’
এসময় দেশের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় এবং জাতির গৌরবোজ্জ্বল ভাষা আন্দোলনের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বাঙালি জাতি সত্ত্বার একটি প্রাথমিক স্তম্ভ একুশে। একাত্তর–উত্তর রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক এবং অন্যতম অনুপ্রেরণা একুশে। ব্যক্তিগতভাবে এক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে আমার একুশের সঙ্গে। আমার মা একজন ভাষা সৈনিক, ভাষা কন্যা।
প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতির মা বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ। যিনি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী থাকাবস্থায় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ ছিলেন অন্যতম।