Homeজাতীয়ঋণখেলাপি বেক্সিমকো গ্রুপ

ঋণখেলাপি বেক্সিমকো গ্রুপ


এবার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকেও ঋণখেলাপি হয়ে গেছে বেক্সিমকো গ্রুপ। সোনালী ব্যাংকে থাকা এ গ্রুপের এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে বড় অংশই খেলাপি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. শওকত আলী খান।

বৃহস্পতিবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য জানান। এ সময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি), প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) ও মহাব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে সোনালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) সুভাষ চন্দ্র দাস জানান, গত বছরের জুনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপ খেলাপি হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, সাধারণত দুটি কিস্তি অনাদায়ী হলে খেলাপি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বেক্সিমকো গ্রুপ সব সময় চালাকি করে সামান্য টাকা পরিশোধ করে পৌনে দুটি কিস্তি বকেয়া রাখত। অর্থাৎ ২০০ কোটি টাকা পাওনা থাকলে ২৫ কোটি টাকা দিয়ে বাকি টাকা দিত না। এতে সামান্য পরিশোধের কারণেই গ্রুপটিকে প্রতি প্রান্তিকে আর খেলাপি বলা যেত না।    

এক প্রশ্নের জবাবে শওকত আলী খান বলেন, হলমার্ক গ্রুপ ঋণের বিপরীতে যে পরিমাণ সম্পত্তি মর্টগেজ দিয়েছিল তার অতিরিক্ত আরও ১৬৭ একর জমি নতুন করে সংযুক্ত করা হয়েছে। শুধু হলমার্ক নয়, টিএম ব্রাদার্সসহ যাদের কাছে ব্যাংকের বড় পাওনা রয়েছে তাদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ব্যাংক। 

সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২৪ সালে বিপুল মুনাফা করেছে দেশের বৃহত্তম তফশিলি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক পিএলসি। ২০২৩ সালের চেয়ে ২০২৪ সালে পরিচালন মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ২০২৪ সাল শেষে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার পরিমাণ ৫ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। রেকর্ড মুনাফার পাশাপাশি ২০২৪ সালে আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ১৪ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা বেশি।  

এ প্রসঙ্গে শওকত আলী খান বলেন, বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এ বছর নিট ইন্টারেস্ট ইনকামের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪২৫ কোটি টাকায়, যা গত বছরের চেয়ে ৯৪৯ কোটি টাকা বেশি। 

ব্যাংকের জন্য এ বছরের স্লোগান ‘২০২৫ সাল হবে সোনালী ব্যাংকের সমৃদ্ধির পথে চলার বছর’ উলে­খ করে তিনি জানান, কর্মীরাই ব্যাংকের প্রাণ। তাদের মোটিভেট করতে আমরা উলে­খযোগ্য কর্মীদের প্রমোশন দিয়েছি। তারা ভালো থাকলে ব্যাংক আরও ভালো করবে। প্রমোশনপ্রাপ্তদের অনেকেই ৭-৮ বছর পর প্রমোশন পেয়েছেন। তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। ব্যাংকের স্বার্থেই আমরা তাদের প্রমোশন দিয়েছি।

খেলাপি ঋণ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এমডি অ্যান্ড সিইও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করে খেলাপি ঋণ কমাতে কাজ করছি। উৎপাদনশীল খাতে ঋণ দিতে সিএমএসএমই ঋণে জোর দিয়েছি। ২০২৪ সালে রেকর্ড মুনাফার কারণে প্রভিশন ঘাটতি কমে আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

প্রসঙ্গত, এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি হয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ।  





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত