জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিগণ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এই জামাতে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। ক্বারী ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
হাইকোর্ট-সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে এবার একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
ঈদের নামাজ শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঈদ মোবারক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে প্রতিটি বাজারে প্রতিটি গঞ্জে শহরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যাঁরাই যেখানে ঈদের জামাতে শরিক হয়েছেন, সবাইকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। যাঁরা ঈদের জামাতে শরিক হওয়ার সুযোগ পাননি, তাঁদেরও ঈদ মোবারক। আমাদের মা-বোনেরা যাঁরা ঘরে আছেন, তাঁদেরও ঈদ মোবারক। আমাদের প্রবাসী শ্রমিকেরা, যাঁরা সারা বছর কষ্ট করেছেন, আমরা জাতির পক্ষ থেকে তাঁদেরও ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। যাঁরা হাসপাতালে আছেন, রোগী, তাঁদেরও ঈদ মোবারক।
তিনি আরও বলেন, ঈদ দূরত্ব ঘোচানোর, নৈকট্য, ভালোবাসার দিন। দিনটি যেন ভালোভাবে উদ্যাপন করতে পারি, আজকে ঐক্য গড়ে তোলার দিন। আমরা স্থায়ীভাবে ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মোনাজাতে যাতে আমরা অবশ্যই স্মরণ করি, আমাদের বীর সন্তান যাঁরা আমাদের মুক্তির জন্য আত্মত্যাগ করেছেন, আল্লাহ যেন তাঁদের শান্তি দেন। যাঁরা স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্যুত হয়েছেন, দেশের জন্য নিজেদের স্বাভাবিক জীবন ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য আমরা প্রার্থনা করি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যে নৈকট্য এবং ঐক্য আমরা শুরু করলাম তা নিয়ে যে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারি। আমরা অবশ্যই যারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন তাদের স্বপ্ন পূরণ করবোই। আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করবই, ইনশাল্লাহ।