Homeজাতীয়ইয়াবা কারও নিয়ন্ত্রণে নেই, সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে: মাদকের অতিরিক্ত ডিজি

ইয়াবা কারও নিয়ন্ত্রণে নেই, সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে: মাদকের অতিরিক্ত ডিজি


মদ বা অন্যান্য মাদক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ইয়াবা কারোর নিয়ন্ত্রণে নেই, এটি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। এমন মন্তব্য করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফ।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘মাদকতার কুফল ও প্রতিকার’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে মাদানী মজলিশ বাংলাদেশ।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘ইয়াবা কারোর নিয়ন্ত্রণে নাই। আমরা যা-ই বলি না কেন। ইয়াবা সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। গ্রামের দোকানেও ইয়াবা পাওয়া যায়। এটা বেশি সহজলভ্য হয়ে গেছে। একটি বড়ির মতো, কোনো গন্ধ নাই। মদ বা অন্য কিছু খেলে মুখে গন্ধ থাকে, ইয়াবার থাকে না। তাই ইয়াবা সেবন করার পর বোঝাও যায় না।’

তিনি বলেন, ‘মদ নিয়ে আমি চিন্তিত না। বিশ্বব্যাপী যেমন এটা নিয়ন্ত্রণে আছে, একটা ইসলামি দেশ হিসেবে আমাদের দেশেও এটা নিয়ন্ত্রণে আছে। মদমুক্ত করতে পারবেন না। যতটুকু সম্ভব ততটুকু নিয়ন্ত্রণে আছে। শুধু মদ না, হিরোইন, কোকেন, আফিম ও গাঁজাও নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে ইয়াবা কারও নিয়ন্ত্রণে নেই।’

ইয়াবার ভয়াবহতা উল্লেখ করে ডিএনসির অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘তিন–চার বছর টানা ইয়াবা সেবন করলে ওই ব্যক্তি মেন্টালি ডেড হয়ে যায়। একটা পর্যায়ে ইয়াবা সেবনকারী ব্যক্তি কথা বলতে পারে না, শুকিয়ে যায় এবং একটা সময়ে সে মারা যায়। ইয়াবা সেবনকারীকে পুনর্বাসনও করা যায় না।’

সীমান্ত দিয়ে ইয়াবার প্রবেশ রোধে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ইয়াবার কোনো কারখানা নেই। সব কারখানা মিয়ানমারে। যদি আমাদের দেশে ইয়াবার চাহিদা শূন্যে নেমে আসে তাহলে অন্য দেশ থেকে আমাদের দেশে ইয়াবা আর আসবে না।’

অনুষ্ঠানে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সারা দেশে কারাগারের শতকরা ২৫ ভাগ আসামি মাদক সংক্রান্ত। যার সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজারের কম নয়।’

সেমিনারের প্রধান আলোচক মাদানী মজলিস বাংলাদেশের সভাপতি শায়খ মুফতি হাফীজুদ্দীন বলেন, নতুন প্রজন্ম মাদকে আক্রান্ত হচ্ছে ভয়াবহ রূপে। এটা দেশের আইনশৃঙ্খলা, জনগণের নীতি নৈতিকতাবোধ এবং পারিবারিক, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার ওপর মারাত্মকভাবে কুপ্রভাব ফেলছে।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিভিন্ন আলেমরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত