একের পর এক ক্রিকেটারকে ঘিরে স্পট ফিক্সিংয়ের খবর প্রকাশ পাচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মিলছে না কারোর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ। বিভিন্ন ম্যাচের ঘটনা ধরেই এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বাদ পড়েননি রংপুর রাইডার্সের পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দলটির রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচ ঘিরেই এমন সন্দেহের খবর প্রকাশ পায়। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দাবি, তাদের ক্রিকেটার কিংবা তারা ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। তদন্তের স্বার্থে যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন রংপুরের টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তানিম। তিনি জানিয়েছেন, বিপিএলে সচ্ছতা আশা করেন তারা। শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনার বিপক্ষে করা সাইফউদ্দিনের শেষ দুই ওভার বোলিংয়ে নিয়েই প্রশ্ন। ১৪তম ওভারটি করতে গিয়ে মোট ৮ বল করতে হয়েছিল তার। এর মধ্যে দুটিই ছিল নো বল। ১৮তম ওভারেও ১০টি বল করতে হয়েছিল তার। এবার দুটি নো বল ও দুটি ওয়াইড দেন তিনি। দুই ওভারে রানের রেশিও ছিল ১৭ ও ২২। অভিজ্ঞ এই পেসারের এমন ছন্দহীন বোলি ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধও খুঁজচ্ছে অনেকে। তবে এমন কোনো কিছু হলে বিসিবির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটকে (আকু) সহযোগিতার আশ্বাস দেন রংপুর রাইডার্স টিম ডিরেক্টর, ‘তারা (আকু) যদি কোনো তদন্ত করতে চায়, তারা করতে পারে। সেই অধিকার তাদের আছে। অন্যদিকে, নিজেদের খেলোয়াড়কে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কো-অপারেট করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
সাইফউদ্দিনের বোলিং নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই রংপুরের। দলটির এই কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, ‘আমাদের থেকে সন্দেহের কিছু নেই। আমি মনে করি আমাদের ক্রিকেটাররা মাঠে গিয়ে শতভাগ দেবে। তারপরও আমরা বলেছি যে বিসিবি বা অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটকে কোনো ধরনের তথ্য দিয়ে যদি সহযোগিতা করতে হয়, সেটার জন্য আমরা একমত।’
বিপিএলে লম্বা সময় ধরে আছে রংপুর রাইডার্স। ২০১৭ সালে দলটি শিরোপাও জিতেছিল। টুর্নামেন্টকে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখতে বদ্ধপরিকর তারাও। প্রয়োজনে নিজেরা অপরাধী হলেও কঠোর শাস্তি আশা করেন জানিয়ে শাহনিয়ান বলেন, ‘আমি মনে করি, স্বচ্ছ বিপিএল ছাড়া অন্য কিছুর চিন্তাও থাকা উচিত না। যদি এসব কিছু প্রমাণ হয়, তাহলে সেসব ক্রিকেটারকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া উচিত। সেটা ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক বা ক্রিকেটার হোক।’
গণমাধ্যমে উঠা অভিযোগগুলোর সত্যতা জানেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, অভিযোগ সত্য কিনা। আমার চেয়েও যোগ্য ব্যক্তিরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। আমি মন খুলে বলতে চাই, কোনো ক্রিকেটার বা ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি বে-আইনি কিছুতে জড়িয়ে থাকে, তার অবশ্যই বড় শাস্তি হওয়া উচিত। শুধু এই টুর্নামেন্টের জন্য নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটা উদাহরণ তৈরি করা দরকার।’ অভিযোগের সত্যতা মিললে শাস্তি চায় ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও।