Homeখেলাধুলারিয়ালকে উড়িয়ে সেমিতে এক পা আর্সেনালের

রিয়ালকে উড়িয়ে সেমিতে এক পা আর্সেনালের


চ্যাম্পিয়নস লিগের মহারণে যেন এক রূপকথার রাত ছিল এমিরেটস স্টেডিয়ামে আজ। যেখানে আর্সেনালের হয়ে মঞ্চ দখল করে নিলেন এক ইংলিশ সেনানী—ডেক্লান রাইস। দ্বিতীয়ার্ধে তার পরপর দুই দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে বিধ্বস্ত হয়ে গেল ইউরোপের রাজা রিয়াল মাদ্রিদক। ৩-০ গোলের অবিশ্বাস্য জয়ে আর্সেনালের সামনে এখন সেমিফাইনালের হাতছানি।

এই ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে থেকেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছিল। আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা সমর্থকদের বলেছিলেন— ‘তোমাদের গলায় যেন আগুন থাকে!’ আর সেই আগুনই যেন মাঠে ছড়িয়ে পড়ল। প্রথম বাঁশি বাজতেই আর্সেনাল শুরু করল আক্রমণ। একের পর এক অ্যাটাকে খেলার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি লন্ডনের ক্লাবটির হাতে।

রিয়াল মাদ্রিদ তখনও ঘুম থেকে ওঠেনি। ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ এলো ২০তম মিনিটে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের এক চেষ্টায়। কিন্তু সেটি ছিল পোস্টের বাইরে দিয়ে।

তবে আসল নাটক শুরু হলো দ্বিতীয়ার্ধে।

৫৮তম মিনিটে, ডেক্লান রাইস এমিরেটসে এক মুহূর্ত তৈরি করেন যেটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকাতে পারেননি রিয়ালের ওয়াল ও গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার কেউই—দর্শকেরা তখন উল্লাসে কাঁপছিল। কে জানতো, আরও একটা আসছে!

৭০তম মিনিটে আবারও ফ্রি-কিক। আবারও রাইস। আর এবারও বল ঠিক জায়গায়—বারের ডান কোণে। পুরো স্টেডিয়াম তখন বিস্ময়ে বিমুগ্ধ।

রিয়াল যখন সামলে ওঠার চেষ্টা করছে, তখনই আসে তৃতীয় ধাক্কা। মিকেল মেরিনো দুর্দান্ত শটে বল পাঠান নিচু কোণে—৭৫তম মিনিটে আর্সেনালের ৩-০ এগিয়ে যাওয়ার গল্পটা রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে রিয়ালের জন্য।

শেষের দিকে হালকা হতাশায় ভেঙে পড়েন ক্যামাভিঙ্গা—৯০+২ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। রিয়ালের রাতটা তখন আরও কালো।

২০০৮-০৯ মৌসুমে শেষবার সেমিফাইনালে উঠেছিল আর্সেনাল। এবার সেই মঞ্চে ফেরার স্বপ্নটা যেন বাস্তবে রূপ নেওয়ার পথে। তবে সামনে এখনও এক বিশাল চ্যালেঞ্জ—সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ের ফিরতি লেগ।ৃ





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত