চার দিন আগে জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। মাঠেই হারিয়েছিলেন চেতনা, মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরতে হয়েছে তাকে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে, চিকিৎসকদের নিরলস প্রচেষ্টা আর সবার ভালোবাসায় এখন তিনি সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়।
নিজের ফেসবুক পোস্টে তামিম জানান, এই কয়েক দিনে তিনি শুধু নতুন জীবনই পাননি, বরং নতুন করে চিনেছেন তার চারপাশের মানুষদেরও। তার প্রতি সবার ভালোবাসা আর সহমর্মিতা তাকে আরও আবেগপ্রবণ করে তুলেছে। ক্যারিয়ারে বহুবার ভালোবাসা পেয়েছেন, তবে এবার তা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছেন বলে জানান তিনি।
ঘটনার শুরু বিকেএসপির মাঠে। অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাশে দাঁড়ান ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল ও বিকেএসপির চিকিৎসকরা। দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, অ্যাম্বুলেন্স চালকও প্রাণপণে তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন সময়ের আগেই। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম।
তামিম নিজের স্টাটাসে বলেন, ‘আমি পরে জেনেছি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, ডালিম ভাই যদি সঠিকভাবে সিপিআর না দিতেন, তবে হয়তো আমি বেঁচে থাকতাম না। আল্লাহ আমাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়েছেন, আর ডালিম ভাই ছিলেন সেই সময়ের উপযুক্ত মানুষ।’
তামিম ইকবালকে ভর্তি করা হয়েছিল বিকেএসপির কাছের সাভার কেপিজে হাসপাতালে। সেখানকার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ও তার চিকিৎসক দল অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তার চিকিৎসা করেছেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডা. মারুফ ও তার দল সত্যিকারের এক ‘মিরাকল’ ঘটিয়েছেন।
তামিম জানান, ‘এই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে সব স্টাফের আন্তরিকতা আমি আজীবন হৃদয়ে লালন করব। এতটা দ্রুত ও দক্ষ চিকিৎসা দেখে আমি অভিভূত। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা যে কতটা এগিয়ে গেছে, তা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারলাম।’
তামিম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার পাশে থাকা সবাইকে। বিকেএসপির প্রথম সেবাদাতাদের, মোহামেডানের সাপোর্ট স্টাফ ওয়াসিমকে, এবং কেপিজে হাসপাতালের পুরো দলকে।
তবে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। পুরোপুরি সুস্থ হতে তাকে আরও কিছুদিন সময় নিতে হবে। তামিম লিখেছেন, ‘আমাকে ও আমার পরিবারকে দোয়ায় রাখবেন। সবার জীবন সুন্দর ও শান্তিময় হোক। ভালোবাসা সবার জন্য।’