বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) নতুন পয়েন্ট ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে বড় ব্যবধানে জয়ের জন্য অতিরিক্ত পয়েন্ট এবং অ্যাওয়ে জয়কে আরও মূল্য দেওয়া হতে পারে। আগামী চক্র থেকে এই পরিবর্তন কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
২০২৫ সালের জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া চতুর্থ চক্রে ডব্লিউটিসির পয়েন্ট ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা করছে আইসিসি। নতুন নিয়ম অনুসারে, বড় ব্যবধানে জয়ী দলগুলো পাবে অতিরিক্ত পয়েন্ট, যা রঞ্জি ট্রফি কিংবা শেফিল্ড শিল্ডের মতো প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টগুলোর কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
এছাড়া, সব দল একে অপরের বিপক্ষে না খেলায় পয়েন্ট বিতরণের ভারসাম্যহীনতা দূর করতেই অ্যাওয়ে জয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এতে ঘরের মাঠের চেয়ে বিদেশের মাটিতে সিরিজ জয় করলে বেশি পয়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই নতুন পয়েন্ট পদ্ধতি নিয়ে এপ্রিলে আইসিসির বোর্ড সভায় আলোচনা হবে। মূল লক্ষ্য হলো ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দলগুলো যেখানে বেশি ম্যাচ খেলে, সেখানে অন্য দলগুলোর জন্য প্রতিযোগিতা আরও ন্যায়সঙ্গত করা। পাশাপাশি, শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জয়ের ক্ষেত্রে বেশি পয়েন্ট দেওয়ার জন্য সিডিং ব্যবস্থার কথাও ভাবছে আইসিসি।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান কাঠামোর বিরুদ্ধে কথা বলছে। তিনটি চক্রের একবারও ফাইনালে উঠতে না পারায় ইসিবির কর্মকর্তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। অধিনায়ক বেন স্টোকস পর্যন্ত বলেছেন, ‘এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।’
ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসনও বলেছেন, ‘বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও ন্যায়সঙ্গত করতে হবে। সেরা দলগুলো যেন ফাইনালে উঠতে পারে এবং অন্য দেশগুলোও টেস্ট খেলতে আগ্রহী হয়, সেটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
এই বিতর্কের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া চলতি বছরের জুনে লর্ডসে ফাইনালে মুখোমুখি হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা যদিও ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ম্যাচ জিততে পারেনি, তবুও তারা ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এবার তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার ‘মেশিনের মতো’ দলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ট্রফি জেতার।