আজকের দিনে ফুটবল বিশ্বের এক সময়ের অন্যতম প্রতিভাবান তারকা নেইমার জুনিয়রের জন্মদিন। ৩৩ বছরে পা রাখা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড তার ক্যারিয়ারে অনেক সাফল্য পেলেও চূড়ান্ত স্বপ্নের পূর্ণতা এখনও অধরা। ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই নতুন পথচলা শুরু করেছেন তিনি আবারও।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন
নেইমারের ফুটবল যাত্রা শুরু হয়েছিল সান্তোস এফসি থেকে। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের জার্সিতে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের পর ২০১৩ সালে যোগ দেন বার্সেলোনায়। লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে মিলে গড়ে তুলেছিলেন বিখ্যাত ‘এমএসএন’ ত্রয়ী। ২০১৫ সালে বার্সার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ইউরোপীয় সাফল্যের শিখরে উঠেছিলেন।
কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আরও বড় তারকা হওয়ার বাসনা তাকে ২০১৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) নিয়ে যায়। যদিও পিএসজিতে ফরাসি লিগের দাপট ধরে রাখলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা এনে দিতে ব্যর্থ হন। চোটের কারণে ক্যারিয়ারের গতি হারাতে থাকেন, আর সমালোচনার তীরও ধেয়ে আসে তার দিকে।
আল হিলাল ও প্রত্যাবর্তনের গল্প
২০২৩ সালে ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে যোগ দেন নেইমার। বিশাল অঙ্কের চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগে যোগ দিলেও, দুর্ভাগ্যক্রমে বড় চোটের কারণে মাঠে খুব বেশি সময় কাটাতে পারেননি। দীর্ঘ পুনর্বাসন শেষে নতুন করে মাঠে ফেরার চেষ্টায় আছেন তিনি।
এদিকে, ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়ে ২০২৫ সালের শুরুতে পুরনো ঠিকানা সান্তোসে ফিরে এসেছেন নেইমার। ইউরোপ ছেড়ে আবার ব্রাজিলে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তার ক্যারিয়ারের এক নতুন মোড়। তবে সান্তোসের সমর্থকরা তাকে আবারো জার্সিতে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত।
বিশ্বকাপ ২০২৬: শেষ স্বপ্নের লড়াই?
নেইমার সবসময় বলে এসেছেন, ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা তার জীবনের অন্যতম বড় স্বপ্ন। ২০১৪ বিশ্বকাপে চোটের কারণে সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি, ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে দল প্রত্যাশিত ফল পায়নি। এখন তার লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপ, যেখানে তিনি হয়তো ক্যারিয়ারের শেষ বড় টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছেন।
এই জন্মদিনে নেইমারকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে তার ভক্তরা। চোট কাটিয়ে আবার মাঠে ফিরে তিনি কী করতে পারেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়। সময়ই বলে দেবে, নেইমারের গল্প শেষ হয়েছে কিনা—নাকি আরও কিছু বাকি আছে।