তারুণ্যের উৎসবে নিষ্ক্রিয় ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
তারুণ্যের উৎসব বাস্তবায়নে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) সব ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনকে কর্মপরিকল্পনা জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ফেডারেশন মহাযজ্ঞ হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়েছে। ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত হচ্ছে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বিপরীত চিত্রও দেখা যাচ্ছে—অনেক জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন কর্মপরিকল্পনা জানায়নি। এসব ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের কোনো কার্যক্রমও লক্ষ করা যাচ্ছে না। এনএসসি থেকে জানানো হয়েছে, পরিকল্পনা জানায়নি এমন ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যা ১৫।
এনএসসির নির্দেশনা বাস্তবায়নে এমন অনাগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের অনুদানের অর্থ স্থগিত করা যায় কি না, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ বিষয়টি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ অনুচ্ছেদ ২৩-এর ‘গ’ ধারার লঙ্ঘন। তারুণ্যের উৎসব বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কর্মপরিকল্পনা জানাতে ৫ জানুয়ারি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ২৬ জানুয়ারির মধ্যে পরিকল্পনা জানানোর কথা ছিল।
উল্লিখিত সময়ের মধ্যে গলফ ফেডারেশন, রোইং ফেডারেশন, শরীর গঠন ফেডারেশন, ক্যারম ফেডারেশন, ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন, বিলিয়ার্ড অ্যান্ড স্নুকার ফেডারেশন, ব্রিজ ফেডারেশন, প্যারা আরচারি অ্যাসোসিয়েশন, বাশাআপ অ্যাসোসিয়েশন, মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন, থ্রোবল অ্যাসোসিয়েশন, কিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন, সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশন, জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশন এবং খিউকুশিন অ্যাসোসিয়েশন কর্মপরিকল্পনা জানায়নি।
প্রসঙ্গত, সরকার ঘোষিত তারুণ্যের উৎসব পালনে দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনেও তারুণ্যের উৎসব বাস্তবায়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এনএসসি থেকে এ উৎসব বাস্তবায়নে নির্দেশনা দেওয়া হলেও উল্লিখিত ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন কোনো কর্মপরিকল্পনা জানায়নি।
Source link