ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সংশ্লিষ্ট ক্লাবের কর্মকর্তাদের তিনি মৌখিকভাবে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো আবেদন করেননি।
লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) সূত্র কালবেলাকে জানিয়েছে, সাকিবের হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত অনেককেই বিস্মিত করেছে। তার না খেলার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে এটি ডিপিএলে রূপগঞ্জের পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা হতে পারে।
দুই দিনব্যাপী দলবদলের প্রথম দিনেই অনলাইনের মাধ্যমে রূপগঞ্জের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় সরাসরি উপস্থিত না হয়ে অনলাইনে নাম নিবন্ধন করেন তিনি। তবে চুক্তির খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়—আসলেই কি এবার ডিপিএলে দেখা যাবে সাকিবকে?
এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল মাত্র একদিনের মাথায়। আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ জানিয়েছে, সাকিব তাদের সঙ্গে থাকছেন না। যদিও এখনো পর্যন্ত তিনি ব্যক্তিগতভাবে সিসিডিএমকে নিজের সিদ্ধান্ত জানাননি।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতির বদলের পর থেকেই মাঠের বাইরে আছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশে ফিরতে না পারায় ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলে বিদায় জানানোর পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন হয়নি। বিপিএলেও অংশ নিতে পারেননি তিনি।
এছাড়া, আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে তার বোলিং আপাতত বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে, দেশে ফেরার পথে রয়েছে আইনি জটিলতাও। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে চেক প্রতারণার অভিযোগে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এ অবস্থায় সাকিবের ডিপিএলে খেলা নিয়ে সংশয় ছিল শুরু থেকেই। শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তই সেটি নিশ্চিত করল। এখন প্রশ্ন, কবে নাগাদ তিনি আবার ক্রিকেটে ফিরবেন?