বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান শেষ পর্যন্ত বোলিং অ্যাকশনের তৃতীয় পুনর্মূল্যায়ন পরীক্ষায় পাস করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। ইংল্যান্ডে হওয়া এই পরীক্ষায় সফল হওয়ার মাধ্যমে ছয় মাসের দীর্ঘ অনিশ্চয়তার অবসান ঘটল।
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে খেলার সময় তার বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক বলে রিপোর্ট হয়, যার ফলে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাকে নিষিদ্ধ করে। পরবর্তী দুই দফা পুনর্মূল্যায়ন পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। তবে সম্প্রতি সারে কোচ গ্যারেথ ব্যাটির অধীনে নিবিড় অনুশীলনের পর তিনি সফলভাবে তৃতীয় পরীক্ষা পাস করেন।
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাকিবকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখেনি, কারণ তারা তাকে শুধু ব্যাটার হিসেবে দলে নিতে চায়নি। এই প্রসঙ্গে সাকিব ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমার কোনো অভিযোগ নেই, তবে যোগাযোগটা ভালো হলে আমি আরও খুশি হতাম।’
সাকিব চেয়েছিলেন, বোলিং পরীক্ষা দেওয়ার আগে শৈশবের কোচ ও বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে সপ্তাহব্যাপী ক্যাম্প করতে। কিন্তু বিসিবি তাতে সাড়া দেয়নি, ফলে তিনি সময়মতো পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। অনেকের মতে, এই পরিস্থিতির কারণে সাকিব তার ইচ্ছামতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে থেকে অবসর নিতে পারেননি।
সাকিবের বোলিং অ্যাকশন সংশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তার শৈশবের বন্ধু সিরাজউল্লাহ খোদেম, যিনি জানান, ‘প্রথম দুই পরীক্ষায় সাকিব তাড়াহুড়ো করেছিলেন, এবার প্রস্তুতি নিখুঁত ছিল বলেই সফল হয়েছেন।’
৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ এখন বিসিবির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে, বিশেষ করে সম্প্রতি তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার পর।