৪১ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৭২ রান; স্ট্রাইকরেট ১৭৫.৬০- শেষ টি-টোয়েন্টিতে রীতিমতো উইন্ডিজ বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন জাকের আলী অনিক। তার এমন বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখাও ছিল তখন চোখের স্বস্তি। খোদ ধারাভাষ্যকার নিখিল উত্তামচান্দানিই বলে উঠলেন, ‘’ইটস জাকের আলী-শো…। সুপারস্টার ইন দ্য মেকিং।’
এবারের উইন্ডিজ সফরটা দারুণ কেটেছে জাকের আলী অনিকের। টেস্ট দিয়ে শুরু টি-টোয়েন্টি দিয়ে শেষ। দাপুটে ক্রিকেটের উজ্জ্বল উদাহরণ দেখালেন তিনি।
তিন টি-টোয়েন্টিতে ৬০ গড়ে ১২০ রান করেছেন জাকের। শেষ ম্যাচে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। ৮০ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। অবশ্য ভাগ্য সঙ্গে ছিল বলাই চলে জাকের আলীর। না হলে তো ১৭ রানেই থেমে যেতো তার ইনিংস। ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে ২ রান নিতে চেয়েছিলেন জাকের। একবার প্রান্ত বদল করে দৌড় শুরু করলেও সাড়া দেননি অপর প্রান্তে থাকা শামীম হোসেন পাটোয়ারী। প্রতিপক্ষ ইতিমধ্যে স্টাম্প ভেঙে দিলে আউট ভেবে মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যান জাকের। রাগ, ক্ষোভ সব যেন মাথায় ভর করল তার। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখে নিশ্চিত হলেন আউট জাকের নয়, আউট হয়েছে শামীম। কেননা, জাকের পৌঁছে গেলেও দাঁড়িয়ে থাকা শামীম তখনো ব্যাট নামায়নি। এবার চতুর্থ আম্পায়ারের ডাকে আবারও ফিরে এলেন জাকের। মাঠ ছাড়লেন শামীম। পুরো মুহূর্তটাতেই নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসেন জাকের।
ড্রেসিংরুমে কি করেছিলেন! ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে বলেছে সে কথাও। তার মুখেই শুনুন গল্পটা, ‘ড্রেসিংরুমে গিয়ে আমি নিজেকে, ব্যাটে এবং আশপাশে যা কিছু ছিল, সবকিছুতে লাথি মারছিলাম। আর তখনই তাৎক্ষণিকভাবে থার্ড আম্পায়ার (আসলে ফোর্থ আম্পায়ার) আমাকে ডেকে নিল।’
মাঠে ফেরার পর দুই বলের ব্যবধানে আবারও জাকের ভুল করলেন। এবার বলি হলেন শেখ মেহেদী। কোনো বল না খেলেও রানআউটে ফিরতে হয়েছে তারও। জাকের দায়টা কাঁধেই নিলেন, ‘আমার কারণে আরও একটি রানআউট হয়েছে। নিজেকে লাথি মারার ইচ্ছা হচ্ছিল আমার এবং সে সময় আমি ভেঙেও পড়েছিলাম। তবে আলহামদুলিল্লাহ। এরপর আমি দলের জন্য রান করার সুযোগ পেয়েছি এবং তাদের (শামীম ও মেহেদী) রানও করতে পেরেছি।’
শামীম আগের দুই ম্যাচেই ছিলেন দাপুটে ও দুর্দান্ত। এবার জাকেরের ভুলে আউট হয়েছেন। তবে জাকের নিজের রানকে শামীমেরও বলে উল্লেখ করেন।