করোনা মহামারি-পরবর্তী সময়ে নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ২ হাজার ৬৬৮ জন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে ব্র্যাক ব্যাংক। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁদের চাকরি পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিলেও, ব্র্যাক ব্যাংক সে নির্দেশ অমান্য করে নানা অজুহাত দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রোববার ব্র্যাক ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী কর্মীরা বলেন, মাঝ বয়সে চাকরি হারিয়ে অনেকেই কঠিন আর্থিক সংকটে পড়েছেন এবং এর জন্য তাঁরা ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেনের স্বেচ্ছাচারিতাকে দায়ী করেন।
চাকরি হারানো এক কর্মী জানান, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকটিতে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। কর্মদক্ষতায় পুরস্কৃতও হয়েছিলাম। তবে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে চাকরিচ্যুত করা হয়।’
আরেক কর্মী বলেন, ‘ব্যাংক আমাদের বিরুদ্ধে কোনো নোটিশ ছাড়াই এবং আইন উপেক্ষা করে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। আমরা বহুবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ জানিয়ে আমাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছি।’
চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য কর্মীরা বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন—চাকরিচ্যুত কর্মীদের অবিলম্বে পুনর্বহাল; চাকরিচ্যুতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ; ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্যায় পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু এবং জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া প্রবর্তন করা।