পাঁচ বিলিয়ন না হলেও অন্তত দুই বিলিয়ন ডলারের পাটজাত পণ্য সরকার রপ্তানি করতে চায় বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘পাট রপ্তানির ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে আসুন, আমরা প্রয়োজনীয় সবকিছু করব। পাটের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মনিপুরীপাড়ায় পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলা ও ১৫ দিনব্যাপী তাঁত ও বস্ত্রমেলা-২০২৫ উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। মনিপুরীপাড়ায় জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে এই মেলার আয়োজন করা হয়।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘কোভিডপরবর্তী সময়ে পাটজাত শিল্পপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছিল। আমাদের তখন রপ্তানি বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। কিন্তু কাঁচা পাটের বাজারে একটা অনিয়ন্ত্রিত মূল্য সৃষ্টি হলো, ২ হাজার টাকার পাট ৭ হাজার টাকা হয়ে গেল। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে সরে যেতে শুরু করেন। এতে শিল্পোদ্যোক্তারা দু-তিন বছর ধরে সমস্যায় পড়েছেন। এ অবস্থা থেকে তাঁদের পরিত্রাণ দরকার।’
বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে কৃষকদের বীজ, সার, পাট পচন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, গুণগত মান উন্নয়ন সহায়তায় ৩৫৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। তা ছাড়া শিল্প সহায়তার বিভিন্ন প্রণোদনামূলক কার্যক্রম ও নীতি সহায়তায় মন্ত্রণালয় কাজ করছে। বিশেষত, জেডিপিসির মাধ্যমে ১ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। আমরা তাদের সহায়তায় কাজ করছি। এখানে (জেডিপিসিতে) একটি বিক্রয়কেন্দ্র করেছি, পাটপণ্যের সমাহার যথেষ্ট পরিমাণে করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
উদ্বোধনের পর উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট সচিব আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জিন্নাত আরা, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমেদ সিদ্দিকী, রেশম বোর্ড পরিচালক এম এ মান্নান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব বিমল চন্দ্র রায়, জুট স্পিনার অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক তাপস প্রামাণিক, বাংলাদেশ জুট মিল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আকন্দ, অতিরিক্ত সচিব আরিফুর রহমান খান, এ এন এম মঈনুল ইসলাম, সুব্রত শিকদারসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।