Homeঅর্থনীতিসুবিধা দিয়ে সুকুক বন্ডের অপব্যবহার করেছে বিগত সরকার, কর্মশালায় বক্তারা

সুবিধা দিয়ে সুকুক বন্ডের অপব্যবহার করেছে বিগত সরকার, কর্মশালায় বক্তারা


সারা বিশ্বে সুকুক বন্ড খুবই জনপ্রিয় এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কার্যকর পণ্য। বাংলাদেশে এই বন্ড চালু হলেও বিগত সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিয়ে সুকুকের অপব্যবহার করেছে। আজ বুধবার রাজধানীতে বন্ড মার্কেট নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

তাঁরা বলেন, একটি দেশের শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন প্রাণবন্ত পুঁজিবাজার। আর পুঁজিবাজারকে প্রাণবন্ত করতে বন্ড মার্কেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) মিলনায়তনে (মাল্টিপারপাস হল) ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং বন্ড এন্ড সুকুক মার্কেট’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা হয়। বিআইসিএমের সঙ্গে যৌথভাবে এর আয়োজন করে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ)।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিআইসিএমের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নাজমুস সালেহীন, সিএমজেএফের সভাপতি গোলাম সামদানী ভুইয়া, সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। সঞ্চালনা করেন বিআইসিএমের প্রভাষক ফাইমা আক্তার।

সিএমজেএফ সভাপতি সামদানী বলেন, পুঁজিবাজারে উন্নয়ননে বন্ডের বিকল্প নেই। কিন্তু সুকুক বন্ড সম্পর্কে জানা এবং বুঝার বিষয়ে কিছুটা ঘাটতি আছে। আজকের আয়োজন সেই ঘাটতি মেটাতে ভূমিকা রাখবে।

সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সঠিক সময়ে অপব্যবহার না আটকানো গেলে বিনিয়োগকারীরা এর (সুকুক বন্ড) উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করব, যারা সুকুকসহ বন্ড মার্কেটের অপব্যবহার করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’

একইসঙ্গে বন্ডের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে সেদিকেও নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি ৷

নাজমুস সালেহীন বলেন, ‘বিআইসিএম দক্ষ জনশক্তি তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। পুঁজিবাজারের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের ভুমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু দুঃখজনক হলো— প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা জনশক্তি পাচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘বিআইসিএমে অ্যাপ্লাইড ফাইনান্স অ্যান্ড ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম রয়েছে, যার সার্টিফিকেট দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এখানেও আমরা শিক্ষার্থী পাচ্ছি না। শিক্ষার্থী পাওয়া নিয়ে আমরা সমস্যায় আছি।’

আবু আলী বলেন, ‘শেয়ারবাজার একটি সংবেদনশীল জায়গা। এ বিটে কর্মরত সংবাদকর্মীরা অর্থনীতি এবং বাণিজ্য বিভাগের বাইরে থেকেও এসেছেন। ফলে সংবেদনশীল জায়গায় দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার জন্য সিএমজেএফ সব সময় সচেষ্ট। তারই ধারাবাহিকতায় এ ধরণের প্রশিক্ষণের আয়োজন। আশা করি, এ ধরনের কর্মশালা দেশের শেয়ারবাজার এবং অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।’

প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক এস এম কালবীন ছালিমা, প্রভাষক ফাইমা আক্তার ও প্রভাষক গৌরব রায়।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত