বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে ২৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং অর্থনৈতিক কূটনীতিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই সফর।
আগামীকাল সোমবার সফরে গিয়ে প্রতিনিধিদলটি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবে।
সফরকালে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদল ২৫, ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে আবুধাবি চেম্বার, দুবাই চেম্বার এবং শারজা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনা এবং বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) সেশনে অংশগ্রহণ করবে।
এই গুরুত্বপূর্ণ সেশনগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা নতুন বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন, যা রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রসঙ্গত, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৭ শতাংশ বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত রয়েছেন, যা কর্মসংস্থানের দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিধি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রতিযোগিতামূলক বিনিয়োগ কাঠামো, আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রণোদনা, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ, বিভিন্ন শিল্পে করছাড়, শতভাগ বিদেশি মালিকানা, বন্ডেড গুদাম সুবিধা, কার্যকর মেধাসম্পদ সুরক্ষা এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাংলাদেশি বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তুলেছে।
বিশেষত, দুবাইয়ের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান হালাল পণ্যের বাজারে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি মূল প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের জ্বালানিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্ভাবনাময় এলএনজি সরবরাহকারী দেশ হতে পারে।