Homeঅর্থনীতিযারা নিয়ম মেনে কর দিচ্ছেন বাজেটে তাঁদের সুবিধা দেওয়া হয়: এনবিআর চেয়ারম্যান

যারা নিয়ম মেনে কর দিচ্ছেন বাজেটে তাঁদের সুবিধা দেওয়া হয়: এনবিআর চেয়ারম্যান


জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, যেসব ব্যবসায়ী নিয়মিত কর পরিশোধ করছেন, তাঁদের জন্য আগামীর বাজেটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।

আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ‘অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এআইও) মডিউলের সংযোজন এবং বাণিজ্য সহজীকরণে ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট হাব’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মো. আবদুর রহমান খান আরও বলেন, রাজস্ব সংগ্রহের বর্তমান জটিলতা দূর করার লক্ষ্যে আগামী বাজেটে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যেখানে অতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপ হয়েছে, তা আরও সহজ ও গ্রহণযোগ্য হবে। যেসব ব্যবসায়ী নিয়মিত কর পরিশোধ করছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে এবং তাঁদের করপ্রক্রিয়ায় আরও স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেওয়া হবে; যা দেশের অর্থনৈতিক পরিসরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও জানান, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল আগামী জুলাই থেকে বাধ্যতামূলক করা হবে। অডিট সিলেকশন প্রক্রিয়া এখন থেকে অটোমেটেড করা হবে, যাতে কমপ্লায়েন্ট ট্যাক্স পেয়াররা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন। এই অটোমেটেড প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে যে, যাঁরা নিয়ম মেনে চলবেন, তাঁদের জন্য কোনো ঝামেলা হবে না।

এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট হাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ এখনো কিছু পুরোনো প্লেয়ার দখল করে রেখেছে। নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য সব প্রশ্নের উত্তর এক জায়গায় থাকা প্রয়োজন এবং এভাবেই আমরা তাঁদের বাজারে প্রবেশের সুযোগ দেব।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। গত ৬ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৭ শতাংশ বেড়েছে।’

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন আরও বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সরিয়ে ফেলতে হবে। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো-এনএসআই এবং এআইও কার্যক্রমের মতো উদ্যোগ দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য আরও সুবিধাজনক হবে।’

বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে আশিক মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজারে সীমাবদ্ধ না থেকে আমাদের পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য ও মিয়ানমারের বাজারে দৃষ্টি দিতে হবে এবং সে জন্য কানেকটিভিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এইও) লাইসেন্স পাওয়া ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এইও) লাইসেন্স পাওয়া ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো অটোমেটেড পদ্ধতিতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুসরণ করে আমদানিকৃত পণ্য অতি দ্রুত খালাসে এবং রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়নে বিশেষ সুবিধা পাবে। এখন থেকে এইও লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ২০ শতাংশ পণ্য চালান স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেরাই শুল্কায়ন করতে পারবে। এক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কোনো রকম হস্তক্ষেপ ছাড়াই এইও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সেল্ফ অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে শুল্ক-করাদি পরিশোধ করে সরাসরি জাহাজ থেকে আমদানি করা পণ্য নিজেদের গুদামে নিতে পারবে।

এ ছাড়াও এইও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের পণ্যের চালানসমূহের ৫০ শতাংশের কম পণ্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতাধীন থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠান যেসব পণ্যের রাসায়নিক পরীক্ষা প্রয়োজন, সেসব পণ্যের রাসায়নিক পরীক্ষা ছাড়াই সাময়িক শুল্কায়ন করে খালাস করতে পারবে। অগ্রিম রুলিংয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। যে ক্ষেত্রে ব্যাংক গ্যারান্টির প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ ব্যাংক গ্যারান্টি এবং ২৫ শতাংশ অঙ্গীকার প্রদানের মাধ্যমে মালামাল খালাসের সুবিধা পাবে। এর ফলে আইন মান্যকারী করদাতা প্রতিষ্ঠানের সময় ও ব্যয় উভয়ই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ফিকি) সভাপতি ও ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আক্তার।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত