Homeঅর্থনীতিমৌ পদক পেলেন আট ব্যক্তি-উদ্যোক্তা

মৌ পদক পেলেন আট ব্যক্তি-উদ্যোক্তা


সচেতনতা বৃদ্ধি, সমাজে প্রচলিত মধুবিষয়ক ভুল ধারণা দূরীকরণ, গবেষক, চাষি, ব্যবসায়ী ও ভোক্তার সেতুবন্ধ এবং সুসম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে পঞ্চম জাতীয় মৌমাছি ও মধু সম্মেলন।

আজ শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউটশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) মৌমাছি ও মধু জোটের আয়োজনে এবং গৃহস্থালি খাদ্য উৎপন্নকারী প্রতিষ্ঠান ঘরের বাজারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, এ সম্মেলন দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) মহাপরিচালক ড. কবির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনার নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. মোকলেছুর রহমান।

সম্মেলনে বক্তারা জানান, দেশে এখন প্রতিনিয়তই মধুর চাহিদা ও বাজার বাড়ছে। বর্তমানে দেশে মধুর বার্ষিক বাজারমূল্য ১২০০-১৫০০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে প্রাকৃতিক ও চাষ থেকে মধু সংগ্রহ হয়েছে ২০-২৫ হাজার টন। এর মধ্যে অবশ্য চাষের মধু ৯০-৯৫ ভাগ; বাকিটি প্রাকৃতিক। এখন অনেকে বিদেশেও রপ্তানি করছেন মধু। তবে দেশে এখনো মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংগ্রহে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা কম। কিছু উদ্যোক্তা সেগুলো নিয়ে কাজ করছেন।

ঘরের বাজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামশেদ মজুমদার বলেন, ‘এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মধু গবেষক, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি মৌচাষি ও মৌয়ালদের উপস্থিতিতে দেশের মধুশিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, চ্যালেঞ্জ এবং এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা এবং এই শিল্পের উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।

দেশে মৌমাছি চাষ ও মধু নিয়ে কাজ করা আট ব্যক্তি-উদ্যোক্তাকে মৌ পদক দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব এন্টোমলজির প্রফেসর ড. আহসানুল হক স্বপন; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন; বিসিকের সাবেক প্রকল্প পরিচালক, মৌচাষ প্রকল্প খোন্দকার আমিনুজ্জামান; বিসিকের মহাব্যবস্থাপক (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আলী আশরাফ খান; জগদীশ চন্দ্র সাহা, সাতক্ষীরার প্রবীণ মৌপালক মো. আইয়ুব আলি গাজী, সিরাজগঞ্জের প্রবীণ মৌপালক মো. চাঁন মিয়া সরকার এবং টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডক্টর আবু নাসের মহসিন হোসেন।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত