ব্যাংক থেকে ১ হাজার কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ নিলে সেই কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গঠিত টাস্কফোর্স। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সব ব্যাংকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া, আইপিও অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে টাস্কফোর্স। অর্থাৎ কোনও কোম্পানির আইপিও আবেদন স্টক এক্সচেঞ্জ বাতিল করলে বিএসইসি তা অনুমোদন দিতে পারবে না।
আইপিও সংক্রান্ত অন্যান্য সুপারিশ
মৌলিক শর্ত: ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোম্পানিকে স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে এবং ৫০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোম্পানিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করা।
বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষণ: আইপিও শেয়ারের ৫০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে, যার মধ্যে ৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
পর্যালোচনা প্রক্রিয়া: স্টক এক্সচেঞ্জ আইপিও আবেদন যাচাই-বাছাই করবে এবং প্রয়োজনে কোম্পানির কারখানা বা অফিস পরিদর্শন করবে।
সময়সীমা: আইপিও অনুমোদনের পুরো প্রক্রিয়া ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কাছে এই সুপারিশ জমা দেয় টাস্কফোর্স।