গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সব কটির মূল্যসূচক। পাশাপাশি কমেছে বাজার মূলধন। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন চার হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে। তবে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৯টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৭টির। এ ছাড়া ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ২৩ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ।
সব কটির মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৭৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৯০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বা ২১ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মার শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ২১ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে—ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, উত্তরা ব্যাংক, ফু-ওয়াং ফুড, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বিচ হ্যাচারি এবং লাভেলো আইসক্রিম।