Homeঅর্থনীতিবাংলাদেশের লজিস্টিক খাতে সহযোগিতা করতে চায় সিঙ্গাপুর

বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতে সহযোগিতা করতে চায় সিঙ্গাপুর


বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করতে চায় সিঙ্গাপুর। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো এই আগ্রহের কথা জানান।

ডিসিসিআই গুলশান সেন্টারে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ডিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে এ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনা সভা করেন।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্বস্তির বিষয়। তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ এবং সে দেশের উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছেন। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তাসকীন আহমেদ বলেন, আধুনিক ও দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বৈশ্বিক বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, লজিস্টিক, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণে দক্ষতা উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

এ ছাড়া বাংলাদেশের পাট ও কৃষি খাতের আধুনিকায়নে সিঙ্গাপুরের প্রযুক্তিগত সহায়তার ওপর জোরারোপ করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি।

সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেন, শিল্প খাতে পণ্য উৎপাদন ও লজিস্টিক খাতে ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। তিনি বাংলাদেশের বন্দরগুলোর দক্ষ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালন ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব, যার মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানে সিঙ্গাপুর অত্যন্ত আগ্রহী। দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বৈশ্বিক বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের রাজস্ব খাতের সংস্কার ও অটোমেশনের ওপর জোরারোপ করেন। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণে তিনি শিল্প খাতে ইএসজি কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধিসহ সার্বিকভাবে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

হাইকমিশনার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সিঙ্গাপুর নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত হওয়া ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিশেল লি প্রমুখ।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত