আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারনির্ধারিত তিন দিনের ছুটিই পাচ্ছেন তৈরি পোশাক খাতের কর্মীরা। তবে এর সঙ্গে শ্রমিক-মালিক আলোচনা করে অতিরিক্ত ৫ থেকে ৭ দিনের ছুটি নিতে পারবেন। এসব ছুটি তাঁদের সাপ্তাহিক ও বাৎসরিক অর্জিত ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করবেন।
বিজিএমইএর মহাসচিবের সই করা নোটিশে জানানো হয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে সেটি বেসরকারি কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই শ্রম আইন মোতাবেক বার্ষিক উৎসব ছুটি নির্ধারণ করতে হবে, যা ইতিমধ্যে বিজিএমইএ থেকে জানানো হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের অতিরিক্ত ছুটির জন্য কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক প্রতিনিধিরা আলোচনা করে শ্রম আইন অনুযায়ী দ্রুত ঈদুল ফিতরের ছুটি কখন থেকে শুরু হবে, তা নির্ধারণ করবেন।
গত সপ্তাহে বিজিএমইএ সুযোগ থাকলে ঈদের দু-তিন দিন আগে ছুটি দিতে কারখানামালিকদের অনুরোধ করেছিল।
নিট পোশাকশিল্পমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, সরকারি ছুটি তিন দিনই থাকছে। এর সঙ্গে অনেক কর্মী ৫ থেকে ৭ দিন অতিরিক্ত ছুটি বাড়িয়ে নিচ্ছেন। এসব ছুটি অনেক আগে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ডিউটি করে কাভার করেছেন। আবার কেউ কেউ এখন ছুটি কাটিয়ে পরে বন্ধের দিন ডিউটি করে সমন্বয় করবেন। এভাবে সরকারি তিন দিনসহ মোট ৮ থেকে ১০ দিন ছুটি নিচ্ছেন কর্মীরা। তবে ছুটিগুলো নির্ধারণ হচ্ছে শ্রমিক-মালিকের আলোচনা সাপেক্ষে। কারণ অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজের চাপ রয়েছে, তারা চাইলেও অনেক বেশি ছুটি দিতে পারছে না।
ম্যাপড ইন বাংলাদেশের (এমইবি) ডিজিটাল মানচিত্র অনুযায়ী, দেশে ৩ হাজার ৫৫৫টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ৩০ লাখ ৫৩ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হতে পারে। সম্ভাব্য এই তারিখ ধরেই পাঁচ দিনের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই হিসাবে ২৯ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিনের ছুটি। অর্থাৎ ২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল থাকবে এই ছুটি। এর মধ্যে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এবার টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।