ফের নিজেদের দ্বিতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কার্যাদেশ বাতিলে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে সামিট।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সামিট বলেছে, গত ৭ অক্টোবর পেট্রোবাংলা জানায় যে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের এই প্রকল্পটি বাতিল করা হচ্ছে। এরপর সামিট স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে যায় এবং নিশ্চিত হয় যে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত টার্মিনাল ইউজ অ্যাগ্রিমেন্টের নির্ধারিত শর্তাবলীর পরিপন্থি। আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরামর্শের ভিত্তিতে সামিট গ্রুপ পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশ সরকারকে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য ফের এই আহ্বান জানিয়েছে।
বিগত সরকার সামিটকে বিনাদরপত্রে মহেশখালীতে আরও একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ দিয়েছিল। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বহুল সমালোচিত বিদ্যুৎ- জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন ২০১০ বাতিল করে দেয়। একইসঙ্গে এই আইনের অধীনে দেওয়া কাজ যাচাই করে, যে কাজ এখনও শুরু হয়নি, সেগুলোও বাতিল করে।
সামিট বলেছে, এই প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্তটি শুধু অবৈধ-ই নয়, বরং সামিট এফএসআরইউ প্রকল্পটি বিলম্বিত বাস্তবায়নে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় আরও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।
উল্লেখ্য, সামিট এফএসআরইউ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।