সাম্প্রতিক শুল্ক ও করনীতির সংশোধন, বিশেষ করে সিগারেট খাতে উল্লেখযোগ্য সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিগারেট উৎপাদন খাতের শীর্ষস্থানীয় তিন প্রতিষ্ঠান বিএটি বাংলাদেশ, জেটিআই বাংলাদেশ ও ফিলিপ মরিস বাংলাদেশ।
পরিবর্তিত শুল্ক ও করনীতির কারণে দেশে টেকসই উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়বে বলে মতপ্রকাশ করেছেন তিন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনীষা আব্রাহাম, মাউন্ট পল হলওয়ে ও রেজা-উর-রহমান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমগুলোতে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থনও রয়েছে। তবে একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শুল্ক ও কর নিয়ে সাম্প্রতিক নীতিগত পরিবর্তন এ শিল্প খাত, সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি এবং এ খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
২০১৪ সালে খুচরা মূল্যের ওপর ৬৬ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালে ৭৭ শতাংশে করহার উন্নীত করা হয়েছিল। সর্বশেষ কর বৃদ্ধির মাত্র ছয় মাসের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানুয়ারি ২০২৫-এ খুচরা মূল্যে ৮৩ শতাংশ করহার নির্ধারণ করেছে।
শিল্প খাতের অংশীজনদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো পরামর্শ ছাড়া সংশোধিত এই হার ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সিগারেট শিল্প খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, নতুন কর আরোপের কারণে বৈধ শিল্প খাতের বিক্রয় ও মুনাফার পরিমাণ হ্রাস পাবে, যা এ খাতের ভ্যালু চেইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৪৪ লাখ মানুষের জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যার মধ্যে রয়েছেন দেড় লাখের বেশি কৃষক এবং ১৩ লাখ খুচরা বিক্রেতা ও শ্রমিক।