ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। পাশাপাশি, প্রাইভেট কোম্পানির করপোরেট কর ২৫ শতাংশ এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব তুলে ধরে বিসিআই। সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেয়। সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান সভাপতিত্ব করেন।
কেন করছাড় প্রয়োজন
বিসিআই বলছে, ভারতে করমুক্ত আয়সীমা ১২ লাখ রুপি, যা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি। মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় দেশে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো জরুরি।
এছাড়া, উচ্চ করহার বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করছে উল্লেখ করে বিসিআই বলছে, করপোরেট করের হার শর্তহীনভাবে কমিয়ে প্রাইভেট কোম্পানির জন্য ২৫ শতাংশ এবং পাবলিক কোম্পানির জন্য ২০ শতাংশ করা উচিত। এতে দেশীয় ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে।
অন্যান্য সুপারিশ
বিসিআইয়ের বাজেট প্রস্তাবে আরও কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে:
ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান: বার্ষিক ১৫ কোটি টাকার কম টার্নওভার হলে ৮ বছর পর্যন্ত আয়কর অবকাশ ও বিশেষ রেয়াতি হারে ১ শতাংশ টার্নওভার কর।
আমদানি শুল্ক: কাঁচামাল, উপকরণ, যন্ত্রপাতি ও মেশিনারিজ আমদানিতে ১-৩ শতাংশ শুল্ক সুবিধা।
মূসক (ভ্যাট) হ্রাস: ৫০ কোটি টাকার কম টার্নওভার হলে পণ্য খাতে ৩ শতাংশ ও সেবা খাতে ৫ শতাংশ মূসক।
৩০০ কোটি টাকার কম টার্নওভার হলে পণ্য খাতে ৪ শতাংশ ও সেবা খাতে ৫ শতাংশ মূসক।
অনুন্নত শিল্প এলাকায় করছাড়: ৮ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ ও বিশেষ টার্নওভার কর সুবিধা।
বিসিআই মনে করে, এসব সংস্কার আনলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ পাবে এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে।