Homeঅর্থনীতিএনআরবিসি ব্যাংকের আট উদ্যোক্তাকে তলব

এনআরবিসি ব্যাংকের আট উদ্যোক্তাকে তলব


২০২৩ সালে অনৈতিক উপায়ে এনআরবিসি ব্যাংকের বাজেয়াপ্তযোগ্য ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তখন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

তদন্তের অংশ হিসেবে ব্যাংকের আট উদ্যোক্তাকে (স্পনসর) ১৩ জানুয়ারি বিএসইসিতে হাজির হতে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার তাঁদের কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী, ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ এনায়েত, সারোয়ার জামান চৌধুরী, ইজাহারুল ইসলাম হালদার, সাখাওয়াত আলী, সোহেল আহমেদ ও সেলিনা ইসলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা ইজাহারুল ইসলাম হালদার বলেন, ‘বিএসইসি ডেকেছে, সে বিষয়টা আমাকে জানানো হয়েছে। বিএসইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলব এবং যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকলে অবশ্যই যাব।’

তদন্ত কমিটি গঠন ও কার্যক্রম

গত ১৭ ডিসেম্বর বিএসইসি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান রনি ও মো. হাছান। তাঁদের ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটির সদস্যরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএসইসির আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআইসিএসডি ২০১৬ সালে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে এ বি এম আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন ৪ কোটি ৭০ লাখ ১ হাজার ৮৮৬টি শেয়ার (পরিশোধিত মূলধনের ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ) বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৫১১টি স্পনসর শেয়ার ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ও আদনান ইমামের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে পারভেজ তমালের ব্যবসায়িক পার্টনার ও আত্মীয় শফিকুল আলম মিথুনের নামে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৯২টি শেয়ার, আদনান ইমামের স্ত্রী নাদিয়া মোমিন ইমামের নামে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৫ হাজার ৯০৪টি ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল আহসানের মেয়ে রেহনুমা আহসানের নামে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১৫টি শেয়ার অবৈধভাবে ব্লক মার্কেটে বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।

অনিয়মের অভিযোগ

বিএসইসির আদেশে আরও বলা হয়, যেহেতু ওই শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগ করা অর্থ মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে জোগান দেওয়া এবং স্পনসর শেয়ার কেনাবেচা বা হস্তান্তরের জন্য বোর্ডের অনুমোদন লাগলেও এ বিষয়ে বোর্ড মিটিংয়ে কোনো আলোচনা না করে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়টি উঠে এসেছে; সেহেতু উল্লিখিত বিষয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমাম, অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে এক বছর আগে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের। সে সময় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা যখন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ছিল না, তখন এ বি এম আব্দুল মান্নানের শেয়ারটার বেনিফিশিয়ারি বলা হয়েছিল শহীদুল আহসানকে। তারপর তো পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গেছে। ব্যাংকের কোনো ব্যাপার নাই। এটা পাবলিক শেয়ার, সেটা তো আর বোর্ড অব ডাইরেক্টরের মধ্যে নাই।’





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত