Homeঅর্থনীতিআবার ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি

আবার ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি


এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আবার ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। গতকাল সোমবার থেকে রাজধানী ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরে এই বিক্রি শুরু করেছে সংস্থাটি। এবার ছোলা, খেজুরসহ রমজানের পাঁচ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পর্যায়ক্রমে খুব শিগগিরই বাকি বিভাগ ও কয়েকটি জেলা শহরে ট্রাকে বিক্রি কার্যক্রম চালু করা হবে।

এর পাশাপাশি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমেও পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তবে অ্যাপস জটিলতা ও কার্ড জটিলতায় ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ডিলাররা। জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির বলেন, ‘কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে আমরা জেনেছি। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ডিলারদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে কিছু জায়গায় দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে জেলা প্রশাসকের হাতে দেওয়া আছে। সে ক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। যদি তাঁরা না নেন, তবে আমরা জেলায় যোগাযোগ করব।’

এর আগে কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ২৪ অক্টোবর ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রির কর্মসূচি আবার হাতে নেয় টিসিবি। তবে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিক্রি করে জানুয়ারিতে আবার বন্ধ করে দেয়। ১ মাস ৯ দিন বন্ধ থাকার পর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবারও ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে সরকারি সংস্থা টিসিবি। ঢাকা শহরের দুই সিটিতে ৫০টি ও চট্টগ্রামের ২০টি স্থানে ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রি করছে সংস্থাটি।

ডিসেম্বরে তেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করলেও এ দফায় ট্রাকে যোগ হয়েছে রমজানের আরও দুটি পণ্য। ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা প্রতি লিটার ১০০ টাকা করে সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন বা কুঁড়ার তেল, প্রতি কেজি ৬০ টাকা করে দুই কেজি মসুর ডাল, প্রতি কেজি ৭০ টাকা করে এক কেজি চিনি, প্রতি কেজি ৬০ টাকা করে দুই কেজি ছোলা ও প্রতি কেজি ১৫৫ টাকা করে আধা কেজি খেজুর কিনতে পারবেন।

টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির বলেন, প্রতিবছর শবে বরাতের পর রমজানের বিক্রি শুরু হলেও এবার আগে থেকেই করা হচ্ছে। এখন দুই শহরে শুরু হলেও খুব শিগগিরই বাকি বিভাগীয় শহর ও কিছু নির্দিষ্ট জেলা শহরে ট্রাকসেল শুরু হবে।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁও, মুগদাপাড়া, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালে পণ্য বিক্রি শুরু হওয়ার পরই ট্রাকের সামনে সাধারণ মানুষের দীর্ঘ সারি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সারিও দীর্ঘ হতে থাকে। পণ্য অল্প হওয়ায় অনেক স্থানে দুপুরের মধ্যেই তা শেষ হয়ে যায়।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত