চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাস (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা কম হয়েছে। যদিও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এর আগে, ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস শেষে ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়নি।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি কমে গেছে, ফলে রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া কিছু নীতিগত সংস্কার ও ব্যবসায়িক পরিবেশের কারণে রাজস্ব সংগ্রহে ধীরগতি দেখা গেছে।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা, তবে আদায় হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৮১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। সেই তুলনায় চলতি বছরে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের মাঝপথে তা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করা হয়।
গবেষণা ও পরিসংখ্যানের হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৪ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা; গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ৬৫ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ আদায় কমেছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ কম।
স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট বা মূসক ও আবগারি শুল্ক খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৪ হাজার ২২৩ কোটি টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮২ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশ।
অপর দিকে আয়কর ও ভ্রমণ খাতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে আদায় হয়েছে ৭৩ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা; যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৭০ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এ হিসাবে আদায় বেড়েছে ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ।