বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা যারা রয়েছেন, তারা অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং ভদ্র। কিন্তু রাজনৈতিক শক্তি এবং চেতনা দ্বারা দেশ শাসন করা অন্য জিনিস।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, এখনও হয়তো তারা পদে পদে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। যেটুকু সংস্কার করা তাদের প্রয়োজন, তারা ততটুকু সংস্কার করতে পারবেন না। অনেক কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনগুলো হয়তো কিছুটা সুবিধা আমাদেরকে দেবে। কিন্তু রাজনৈতিক দলের যদি কোনও মতামত না থাকে, তাহলে তারাও কিন্তু বিভ্রান্ত হবেন। তখন তারা সঠিক সুপারিশ মালা দিতে পারবেন না। সেজন্য সব সংস্কার হাতে না নিয়ে আজকে দেশকে যদি পুনর্গঠন করতে হয়— তাহলে অতি দ্রুত একটা নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার সেগুলো করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা ছাড়া আপনারা পদে পদে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হবেন। কিন্তু আমরা আশা করি, আপনারা সফল হবেন। কারণ, আমরা চাই না এই সরকার ব্যর্থ হোক।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এখন দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কথা বলছেন। তিনি তো ফ্যাসিস্ট সরকারের একজন দোসর। তাদের তো শপথ বলতে কিছু নেই। তারা একটা শপথই বুঝে আর সেটি হলো— মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া এবং লুটপাট করে খাওয়া।
তিনি বলেন, এখন দেশ ভালো নেই। বিগত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশ শাসন করেছে। এই ১৫ বছরের শাসনে বাংলাদেশের মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে শুরু করে নৈতিক চরিত্রসহ প্রতিটি জিনিস তারা শেষ করেছে। প্রতিটি জায়গায় মানুষের নৈতিক চরিত্র বলতে কিছু নেই।
সেলিমা রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে বসে শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। সমস্ত কিছুর পরিকল্পনা এখনও তাদের মধ্যে রয়ে গেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরা এখনও দেশের আসল জায়গাগুলোতে রয়ে গেছে। যে কারণে স্বয়ং রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে আজকে অনেকেই চেষ্টা করছে— বাংলাদেশে একটা অস্থিতিশীল তৈরি করতে। তারা ফিরে আসার পথ খোঁজার জন্য এগুলো করছে। কিন্তু ফিরে আসা এত সহজ হবে না। তিনি চট করে ঢুকে পড়বেন এটা বাংলাদেশে আর সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ীকমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জানিপপের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ প্রমুখ।